Skip to content

প্রত্যেক ওয়েবসাইটের দুইটা মূল পার্ট থাকে। একটা ডোমেইন আর আরেকটা হোস্টিং। ডোমেইন হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস। যেমন shadnanm.com আমার ওয়েবসাইটের ডোমেইন।

এখন শুধু ডোমেইন থাকলেই তো চলবে না। আপনার ওয়েবসাইট বানাতে গেলে তো অনেকগুলো ফাইল লাগবে। আপনি ওয়েবসাইট HTML এ বানান নাহয় WordPress এ, ফাইল রাখাই লাগবে। কিছু লিখে রাখবেন তো টেক্সট ফাইল, কোন ছবি রাখবেন তো ইমেজ ফাইল ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন এই ফাইলগুলো কোথায় রাখবেন?

এই ফাইলগুলো রাখার জায়গাই হচ্ছে হোস্টিং স্পেস। হোস্টিং স্পেস ছাড়া আপনি ওয়েবসাইটের কোন ফাইলই অ্যাড করতে পারবেন না। ব্যাপারটা আরও সহজে ব্যাখ্যা করি…

ধরেন আপনি কোর আই নাইনের একটা পিসি বানালেন, ৬৪ জিবি র‍্যাম নিলেন, লাল নীল বাত্তি জ্বলা কেসিং কিনলেন, সেইরকম একটা গ্রাফিক্স কার্ড ইউজ করলেন; কিন্ত হার্ডডিক্স/SSD লাগাতে ভুলে গেলেন। আপনার পিসি কী কোনভাবে চলবে? নাহ, যার অপারেটিং সিস্টেমই নাই সেই পিসি আবার চলে কীভাবে? তাই না? হোস্টিং এর ব্যাপারটাও সেম। আপনি যেই ডোমেইনই কিনেন না কেন, হোস্টিং কিনে তাতে ফাইল না রাখলে ওয়েবসাইট বানানো যাবে না।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন ধরণের হোস্টিং কিনবেন?

এর পুরোটাই ডিপেন্ড করে আপনার ব্যবহারের উপর। হোস্টিং কয়েক ধরণের হয়। আমাদের দেশে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত হোস্টিং হচ্ছে শেয়ারড হোস্টিং। শেয়ারড হোস্টিং ব্যবহারের পেছনে মূল কারণ হচ্ছে “দামে সস্তা, মানে ভালো”। আপনার ওয়েবসাইট যদি ব্যাসিক লেভেলের হয়, পাঁচ দশ হাজার মানুষ যদি একই সময়ে হিট না করে তাহলে শেয়ারড হোস্টিং এই ভরসা রাখতে পারেন। তাছাড়া চাইলে পরে আপগ্রেডও করে নেয়া যায়।

আপনার ওয়েবসাইট যদি ই-কমার্স বেজড হয়, তাতে যদি একটু বেশি গ্রাহক থাকে তাহলে VPS/Dedicated হোস্টিং ব্যবহার করা ভালো। এই হোস্টিং এর দাম একটু বেশি, কিন্ত শেয়ারড হোস্টিং এর সাথে এর পারফরমেন্সের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। আপনার বাজেট যদি বেশি হয়, তবে আপনি এই ধরণের হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন।

এখন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্লাউড হোস্টিংগুলো। যদিও সেটআপ করতে একটু কষ্ট, তবে ক্লাউডের সবচেয়ে বড় মজা হচ্ছে আপনি খুবই অসাধারণ পারফরমেন্স পাবেন, কিন্ত প্রচুর টাকা খরচ করতে হবে না। ক্লাউড হোস্টিং আপনার ব্যবহার অনুযায়ী টাকা কাটবে। অন্যান্য হোস্টিং এ যেমন পেমেন্ট ফিক্সড – আপনি ১ জিবি ফাইল হোস্ট করেন নাকি ১০০ জিবি সেটা দেখবে না। ক্লাউডে আবার এই সুবিধা আছে। আপনি ১ জিবি ফাইল রাখলে খুবই অল্প পরিমান টাকা নিবে আবার ১০০ জিবি ফাইল রাখলে সেই অনুযায়ী টাকা নিবে। প্রচন্ড ফাস্ট পারফরমেন্স আর রিসোর্স অনুযায়ী পেমেন্টের জন্য ক্লাউড দিনকে দিন প্রচন্ড জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

29 views

গুগল অ্যানালিটিক গুগলেরই একটা ফ্রি পরিসেবা যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এর সব অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক করতে পারবেন।

ধরেন আপনার একটা ওয়েবসাইট আছে। সেই ওয়েবসাইটে ১০০ টা ব্লগ পোস্ট আছে। মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে আসে, ব্লগ পড়ে। কিন্ত কোন ব্লগ বেশি আগ্রহ নিয়ে পড়ে তা আপনি জানেন না। যেমন আমার উদাহরণ দিই – আমার প্রায় ২৫ টা ব্লগ পোস্ট ছিল, প্রতিদিন প্রায় ৮০০-১০০০ মানুষ ব্লগগুলো পড়ত, কিন্ত আসলে কি সবগুলো পোস্টই পড়া হত? মোটেও না। ৮০০ জন মানুষের মধ্যে ৭৯০ জন পড়তেন “ইন্ডিয়ান ভিসা কিভাবে করবেন” এই পোস্টটা। পরে আমি দেখলাম এই সব পোস্ট নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি, তাই আমিও আস্তে আস্তে থাইল্যান্ডের ভিসা কিভাবে করবেন, ভুটানের ভিসা কিভাবে করাতে হয়, ভুটানে কোথায় কোথায় ঘুরবেন এই সব লেখা লিখতে থাকলাম। ভিজিটররের সংখ্যাও বাড়তে লাগলো।

এখন এই যে আমি জানলাম আমার কোন পোস্ট কতবার পড়া হয় সেটা কোথা থেকে জানলাম? এই ইনফরমেশনই আপনি পাবেন গুগল অ্যানালিটিক্স থেকে। গুগল অ্যানালিটিক্স পরিসেবা একদমই ফ্রি। আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট থাকলেই আপনি গুগল অ্যানালিটিক্স অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে পারবেন। এরপর গুগল অ্যানালিটিক্স আপনাকে কিছু কোড দিবে। সেই কোড আপনার ওয়েবসাইট/অ্যাপে অ্যাড করলেই গুগল আপনার ওয়েবসাইটের সব ব্রাউজিং অ্যাক্টিভিটি কালেক্ট করতে পারবে।

আপনার ওয়েবসাইটে এক সপ্তাহ/এক মাস/এক বছরে/যে কোন সময়ের মধ্যে কতজন ভিজিট করেছেন, কতক্ষন তারা ওয়েবসাইটে ছিলেন। কোন পোস্ট তারা বেশি সময় ধরে পড়েছে। কোন পোস্ট সবচেয়ে বেশি পড়া হয়েছে, ভিজিটররা কোন দেশ থেকে এসেছে, ভিজিটররা কোন ব্রাউজার থেকে ব্রাউজ করেছে, তাদের ডিভাইস কী ছিল; ঠিক এই মুহুর্তে কতজন আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন এই সব ইনফরমেশন আপনি পাবেন গুগল অ্যানালিটিক্স থেকে। মোট কথা আপনার ভিজিটর ট্র্যাকিং এর জন্য গুগল অ্যানালিটিক্স এর চেয়ে ভালো সমাধান আর হয় না।

27 views

ডোমেইন অ্যালিয়াস অনেকটা আয়নার মত কাজ করে। ধরেন আপনি আপনার বাসায় ১০০ টা আয়না বসালেন। এমন ভাবে বসালেন যাতে ১ টা আয়নার সামনে দাড়ালেই বাকি ১০০ টা আয়নায় কোন না কোন ভাবে আপনার প্রতিবিম্ব দেখা যায়। ডোমেইন অ্যালিয়াসের ধারণাও অনেকটা এমনই। একটা মেইন ওয়েবসাইট থাকবে, যাতে আপনি সব ধরণের কন্টেন্ট আপলোড দিবেন, মেইনটেইন করবেন। আর আরও ১০ টা ডোমেইন কিনে আপনি অ্যালিয়াস হিসেবে সেট করে রাখলেন। এখন ওই সব ডোমেইনেও আপনার মূল ওয়েবসাইটের সেম কন্টেন্টই দেখা যাবে।

মনে হতে পারে, এর দরকার কী? একটা সাইটই তো এনাফ…

না ভাই, এর বিশাল প্রয়োজন আছে। ধরেন আপনার একটা বিজনেস ওয়েবসাইট আছে। তার নাম xyz.com. এখন ৫ বছর ব্যবসা করে আপনি বিশাল হর্তাকর্তা টাইপ কেউ হয়ে গেলেন। মানুষ যখন আপনাকে/আপনার ব্যবসা খুঁজতে আসবে তখন মাত্র ২০ ভাগ লোক আপনার ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস xyz.com লিখে সার্চ দিবে। বেশিরভাগ মানুষ আসলে সার্চ দেয় সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে। তো সার্চ ইঞ্জিনে যদি কেউ xyz লিখে সার্চ দেয় তাহলে xyz.com আসতে পারে, xyz.org আসতে পারে, xyz.info আসতে পারে। দেখা গেলো xyz.com এ আপনাকে না খুঁজে কেউ চলে গেল xyz.org তে। এটা তো বিশাল সমস্যা, তাই না?

সমস্যা সমাধানের উপায় হচ্ছে xyz নাম ঠিক রেখে .com/.org/.info এই সবগুলো কিনে ফেলা। কিনে ফেললেই তো আবার হবে না। সাইট বানাতে হবে। চারটা ডোমেইনের জন্য কী চারটা আলাদা সাইট বানাবেন? দরকারই নাই। xyz.com এ সাইট বানাবেন, বাকি চারটা অ্যালিয়াস করে রাখবেন। এবার আপনার গ্রাহক xyz লিখে যা-ই সার্চ দিক, আপনার সাইটে এসেই থামবে।

পৃথিবীর সব বড় বড় প্রতিষ্ঠানই ডোমেইন অ্যালিয়াস ব্যবহার করে। যেমন ফেসবুকের অ্যালিয়াসড ডোমেইনের সংখ্যা প্রায় ৯০০০। দিনকে দিন এই সংখ্যা আরও বাড়ছেই… আরও একটা ভালো উদাহরণ উইকিলিক্স। উইকিলিক্স যখন প্রথম সবকিছু তাদের ওয়েবসাইটে প্রচার শুরু করে, কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেই সাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর উইকিলিক্স খুঁজে বের করে ডোমেইন অ্যালিয়াসের বুদ্ধি। তারা একটা মূল ডোমেইনে সব ইনফো আপলোড করে, এরপর প্রায় ১০০০ ডোমেইন অ্যালিয়াস করে। অ্যালিয়াসড ডোমেইনগুলোতেও তারপর সব ইনফো পাওয়া যাচ্ছিল, কয়টা ডোমেইনই বা আর বন্ধ করা যাবে? উইকিলিক্স এমন ডোমেইন মিরর সিস্টেম গড়ে তোলায় পরে উইকিলিক্সের তথ্য আর আটকানো যায় নি।

মোট কথা, ডোমেইন অ্যালিয়াস আপনার মূল ডোমেইনের মিরর। আমার ওয়েবসাইট shadnanmahmud.com এ যে কন্টেন্ট পাওয়া যাবে, একদম একই কন্টেন্ট শাদনান.বাংলা ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে। আপনি বুঝতেই পারবেন না, আসলে কোন ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট দেখছেন।

20 views

ওয়ার্ডপ্রেসের থিম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেসের ডিজাইন। ধরেন আপনি দুইটা ওয়েবসাইট বানাবেন। একটা আপনার ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও শো করতে, আরেকটা সাইট বানাবেন অনলাইনে কোন কিছু বিক্রি করতে। এখন চিন্তা করেন, দুইটা ওয়েবসাইটের ডিজাইন কী একই রকম হবে? অতি অবশ্যই না।

এক ওয়েবসাইটের ভিতরে হয়তো আপনাকে নিয়ে কিছু লেখা, আপনার ছবি থাকবে। আর আরেক ওয়েবসাইটে থাকবে ছোট ছোট প্রোডাক্ট, এর দাম… এখন দুই ওয়েবসাইটের ডিজাইন যদি আপনাকে আলাদা আলাদাভাবে তৈরী করে নিতে হয় তাহলে কিন্ত বিশাল ঝামেলা। এই ঝামেলা দূর করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস আগে থেকেই কিছু ডিজাইন তৈরী করে রাখে। আপনি শুধু একটা ক্লিক করলেই ডিজাইন চেঞ্জ হয়ে যাবে। এরপর আপনি সেই ডিজাইনের উপর নানা রকম কাস্টোমাইজ করে আপনার মনের মত ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেসের থিম সাধারণত দুই রকম পাওয়া যায় –

ফ্রি থিম – অধিকাংশ মানুষ ব্যবহার করে

পেইড থিম – কম মানুষ, তবে প্রফেশনালরা ইউজ করে

ফ্রি থিমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুবই অল্প স্বল্প সাপোর্ট পাবেন। কপাল খারাপ হলে সাপোর্টও পাবেন না তেমন। কিন্ত পেইড থিমে আপনি যে কোন সমস্যাতে যে কোন সময়েই পড়েন না কেন, থিম অথর আপনাকে হেল্প করবেই। ফ্রি থিমের আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে কাস্টমাইজ করার অপশন খুবই সামান্য। কিন্ত পেইড থিমে আপনি ওয়েবসাইটের প্রায় প্রতিটা জায়গা কাস্টমাইজ করতে পারবেন।

এখন জিজ্ঞেস করতে পারেন কোন থিম ব্যবহার করা ভালো? ফ্রি থিম নাকি পেইড থিম?

উত্তর হচ্ছে, আপনার ওয়েবসাইট যদি একদমই এন্ট্রি লেভেলের হয়, আপনার হাত যদি টানাটানির হয়, মানে বাজেট কম থাকে; তাহলে আপনি ফ্রি থিম ইউজ করবেন। কিন্ত যদি আপনার বাজেট একটু ভালো হয় তবে অবশ্যই পেইড থিম ব্যবহার করা ভালো। আগের এক পোস্টে লিখেছিলাম দরকার না হলে পেইড প্লাগিন ইউজ করার প্রয়োজনই নাই। এখানে উল্টো গীত গাইছি। বলছি আপনি পারলে পেইড থিমই ব্যবহার করেন। কারণ বছর বছর ওয়েবসাইটের ডিজাইন কখনো চেঞ্জ করা হয় না। আর চেঞ্জ করলেও অনেক কিছুই উলটে পালটে যায়। তাই সবচেয়ে ভালো হয় প্রথম দিকে একবারে একটু বেশি টাকা খরচ করে একটা প্রিমিয়াম/পেইড থিম কিনে নেন, এরপর ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলেন।

পেইড থিমগুলো সাধারণত ১০-৭০ ডলারের মত দাম হয়। একবার কিনলে ৩/৬/১২ মাসের সাপোর্ট পাবেন। তবে সারা জীবন অটো আপডেট পাবেন। মানে ওই থিমের যে কোন আপডেট (কোড স্ট্রাকচার/ফিচার আপডেট) আসলেই আপনার থিম অটোমেটিক আপনার ওয়েবসাইট থেকেই আপডেট হয়ে যাবে।

30 views

গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে গুগলের রান করা একটা প্রোগ্রাম, যার মাধ্যমে গুগল কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সুযোগ দেয় কন্টেন্টের মধ্যে অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে অর্থ আয় করার। এখন চলেন পুরো ব্যাপারটা সহজে বুঝি।

ধরেন আপনি ব্লগ লিখতে পছন্দ করেন। প্রচুর ঘোরাঘুরি করতে ভালোবাসেন, সেই ঘোরাঘুরির এক্সপেরিয়েন্স লিখতে পছন্দ করেন। মানুষ সেটা পড়তে মজা পায়। আপনার লেখা পড়ে অথবা বিভিন্ন ইনফো দেখে আপনার মোটামুটি হাজার দশেক মানুষের একটা ফ্যানবেস ক্রিয়েট হয়ে গেছে।

এখন আপনি চাইলেন আপনি গুগলের অ্যাডসেন্স প্রোগ্রামে অ্যাড হবেন। আপনি আপনার ব্লগের লিংক দিয়ে অ্যাডসেন্স প্রোগ্রামে অ্যাপ্লাই করেলেন। গুগল আপনার ব্লগ চেক করে যদি দেখে ব্লগের কন্টেন্ট আসলেই ভালো তবে গুগল আপনার অ্যাপ্লিকেশন এপ্রুভ করে আপনাকে বলবে তোমার সাইট রেডি। তো আপনি এরপর গুগলের অ্যাডসেন্স প্রোগ্রামের সাইটে ঢুকবেন, সেখানে কিছু কোড পাবেন (এই ব্যাপারে বিস্তারিত পরে পাবেন, এখন শুধু ধারণা নিয়ে রাখেন)। এখন এই কোডটা আপনার সাইটে অ্যাড করলেই ওয়েবসাইটের বিভিন্ন খালি জায়গায় গুগল কিছু অ্যাড দেখানো শুরু করবে।

ধরেন কোন এক পোস্টে আপনি লিখেছেন কক্সবাজারের সি-ফুড নিয়ে। সেই পোস্টের আশেপাশে গুগল booking.com এর কোন অ্যাড দেখাবে, যেখানে কক্সবাজারের হোটেল বুকিং নিয়ে কোন অফার থাকবে। আপনার ব্লগ পড়তে পড়তে কেউ যদি সেই অ্যাডে ক্লিক করে বসেন তাহলেই আপনি একটা মিনিমাম অ্যামাউন্ট পেয়ে যাবেন। আবার কেউ যদি অ্যাডে ক্লিক করে ভালো অফার পেয়ে বুকিং দিয়ে ফেলে, তাহলে গুগল হয়তো আপনাকে বেশ ভালো একটা অ্যামাউন্ট পাঠিয়ে দিবে।

ইংরেজি ব্লগ হোক অথবা বাংলা, আপনি যদি ভালো লিখতে পারেন তাহলেই আপনি গুগল অ্যাডসেন্স প্রোগ্রামে অ্যাড হতে পারেন। তবে শর্তগুলো মেইন্টেইন করা বেশ কষ্টকর। তাছাড়া আপনি হ্যানত্যান টাইপ কিছু লিখলে হবে না। কারো ওয়েবসাইট থেকে কপি মারলে হবে না। আবার পিচ্চি পিচ্চি লেখা লিখলেও হবে না। সত্যিকারের ব্লগ লিখতে হবে।

এখন জিজ্ঞেস করতে পারেন কাজের জিনিস কিনা?

আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে খুবই কাজের জিনিস। যেমন আমার ওয়েবসাইটে একটা ব্লগ সেকশন আছে। সেখানে আমি মাসে একটা না একটা লেখা পাবলিশ করি। কোন কাজের লেখা না, একদম র‍্যানডম কিছু নিয়ে। মাস শেষে দেখা যায় গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আমার আয় হয় ২৫-৩০ ডলার। আমি জানি খুবই ছোট অ্যামাউন্ট হয়তো, কিন্ত এভাবে একবার ভাবেন – আমি মাসের মধ্যে একবার আধ ঘন্টা খরচ করে একটা লেখা লিখলাম, সেই লেখা ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে ভুলে গেলাম। কিছুই করলাম না আর। মাস শেষে গুগল আমাকে একটা অ্যামাউন্ট দিল, যেই টাকায় আমার মাসের ইন্টারনেট বিল হয়ে গেলো, লাভ না তাহলে? পছন্দের লেখাও লিখতে পারছেন, তার থেকে আয়ও হচ্ছে… ভালোই কিন্ত…

ভালো কথা… গুগল কিন্ত ২৫/৩০ ডলার করে মাসে পাঠায় না। ১০০ ডলারের একটা লিমিট আছে। আমার সেই লিমিট বেশ কম ৩ মাস পর পর পূরণ হয়, ৩ মাস পর পর গুগল ১০০ ডলার পাঠিয়ে দেয়। সবার ক্ষেত্রেই নিয়মটা সেম। ১০০ ডলার না হলে কোন ভাবেই টাকা হাতে পাবেন না।
22 views

যদি শাব্দিক ভাবে ব্যাখ্যা করতে বলেন তাহলে SSL দিয়ে বুঝায় Secure Sockets Layer. যেহেতু এই ওয়েবসাইট কোন পড়ালেখার ওয়েবসাইট না, তাই শাব্দিক অর্থ বুঝানোর কোন দরকার নাই। চলেন প্র্যাকটিক্যাল ভাবে বুঝি।

ধরেন আপনার একটা ওয়েবসাইট। সেই ওয়েবসাইটে আপনি কোন কিছু বিক্রি করবেন। ধরেন মধু বিক্রি করবেন। এখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে লিখে রাখলেন – “এখানে মধু বিক্রি হয়, মধু কেনার সময় আপনাকে আপনার ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পে করতে হবে”। আপনার সেই বিজ্ঞাপন দেখে মধুখালীর মধু মিয়া আপনার ওয়েবসাইটে আধা কেজি মধুর অর্ডার দিল। এখন তার ক্রেডিট কার্ডে যখন সে বিল পে করতে যাবে তখন আসলে ঘটনাটা কী ঘটবে? আপনার ওয়েবসাইটে থাকা কিছু বক্সে সে তার মহা মূল্যবান ক্রেডিট কার্ডের ইনফরমেশন অ্যাড করবে। সেটা করার পর পেমেন্ট গেটওয়ে তার কার্ড থেকে টাকা কেটে নিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টে জমা করে দিবে, তাই না? কিন্ত আপনি কী জানেন? এই যে ফুল প্রসেসে আরও কয়টা মাধ্যম জড়িত হয়? চলেন হিসেব করি।

মাধ্যম ১ – যেই মুহুর্তে মধু মিয়া তার ব্রাউজার খুললেন সেই মুহুর্ত থেকেই ব্রাউজার তাঁর সব কিছু ট্র্যাক করা শুরু করল।
মাধ্যম ২ – অর্ডার করার সাথে সাথে পেমেন্ট গেটওয়ে তাকে তার ক্রেডিট কার্ড ইনফরমেশন দেয়ার জন্য যে বক্স দেখাচ্ছে সেই মুহুর্তে যুক্ত হলো পেমেন্ট গেটওয়ে।
মাধ্যম ৩ – আপনার ওয়েবসাইটে অর্ডার করার সাথে সাথে সব আইপি ইনফরমেশন, কুকিজ লগ করা শুরু করল আপনার হোস্টিং কোম্পানি।
মাধ্যম ৪ – আপনি যদি অটোমেশনের কোন টুল ইউজ করেন তবে তারাও এই খেলায় শামিল হলো।
মাধ্যম ৫ – অর্ডার কনফারমেশনের পর মধু মিয়াকে আপনি যে অটোমেটিক কনফারমেশন টেক্সট পাঠাচ্ছেন, সেই টেক্সট পাঠানোর প্রতিষ্ঠান খেলায় এসে যোগ দিল।
মাধ্যম ৬ – আপনি যে আপনার অর্ডার পেয়েছেন সেটা চেক করতে তো নিশ্চয়ই আপনার সাইট চেক করতে হবে, সাইট চেক করতে তো ইন্টারনেট লাগবে, তখন আসলো আপনার লোকাল আইএসপি।
মাধ্যম ৭ – মধু মিয়া যখন অর্ডার দিয়েছে তখন সেও তো ইন্টারনেট ব্যবহার করেই অর্ডার দিয়েছে, তার আইএসপিও তাই এখানে জড়িত।

এগুলো হচ্ছে আমরা দেখতে পাই এমন মাধ্যম, এছাড়া লুকানো কত কিছুই তো আছে। এই যে এত এত মাধ্যম মাঝে দিয়ে অ্যাড হলো মধু মিয়া আর আপনার মধ্যে, ভাবেন একবার কোন একটা মাধ্যমে যদি কোন ভাবে মধু মিয়ার ক্রেডিট কার্ড ইনফরমেশন বেহাত হয় তাহলে কিন্ত মধু মিয়ার ক্রেডিট কার্ডে যত টাকা আছে তা বেহাত হওয়া কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার মাত্র।

এই বেহাত যাতে না হয় এজন্যই ব্যবহার করা হয় SSL. SSL একটা টানেলের মত ক্রিয়েট করে ফেলে, যে টানেল দিয়ে সিকিউরলি সব ইনফরমেশন পাস হয়ে যায়। উপরের যে মাধ্যমগুলো বললাম, সব মাধ্যমই দেখে এনক্রিপটেড ইনফরমেশন পাস হচ্ছে, কিন্ত ডিক্রিপ্ট কি না থাকায় মাধ্যমগুলো কোন ভাবেই জানতে পারে না কী ইনফরমেশন আসলে পাস হচ্ছে। ফলাফল হচ্ছে SSL ইউজ করার ফলে মধু মিয়ার ক্রেডিট কার্ডের সব ইনফরমেশন সিকিউর থাকে।

উইকিপিডিয়ার হিসাব মতে পৃথিবীর প্রায় ৩০ ভাগ ওয়েবসাইটেই এখন SSL ব্যবহার করা হয়। ২০১৮ সালের পর খোলা ৯০ ভাগ ওয়েবসাইটে SSL ব্যবহার করা হয়। ওয়েবসাইটে SSL চালু থাকলে ব্রাউজার অ্যাড্রেসে https:// অপশন দেখতে পারবেন, না থাকলে আপনাকে ব্রাউজার বারবার সাবধান করতে থাকবে।

SSL

অতি অবশ্যই কখনো ভুলেও SSL ইন্সটল করা নেই এমন কোন ওয়েবসাইটে আপনার ব্যাংক রিলেটেড কোন ইনফরমেশন দিবেন না। তাতে ইনফরমেশন বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯%। SSL ইন্সটল করা নেই এমন কোন ওয়েবসাইট থেকে কোন প্রোগ্রাম ডাউনলোড বা ইন্সটল করাও খুবই রিস্কি।
30 views

থিওরিটিক্যাল কথাবার্তা বলে জিনিসটা খুব বড় করে ব্যাখ্যা দেয়া যায়, তবে প্যাচাপ্যাচির মধ্যে না যেয়ে সহজে যদি ব্যাখ্যা করি তবে এক কথায় – প্লাগিন হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেসের বিভিন্ন ফাংশন। এখন ব্যাখ্যা করি…

ধরেন আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে খুব সুন্দর একটা সাইট বানিয়ে ফেলেছেন। ওয়েবসাইটে সব আছে কিন্ত কন্টাক্ট ফর্ম নেই। এখন কন্টাক্ট ফর্ম তো আপনার ক্রিয়েট করতে হবে। আপনি এইচটিএমএল, সিএসএস, পিএইচপি সহ আরও বিভিন্ন জিনিস ইউজ করে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কন্টাক্ট ফর্ম তৈরি করলেন। দিন শেষে দেখা গেল আপনার পেজের ওই কন্টাক্ট ফর্মটা বানাতে বেশ কিছু সময় গেছে, বেশ কিছু ঘাটাঘাটি করতে হইছে।

অথচ আপনি খুব খুব খুব সহজে ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগিন দিয়েই কাজটা সেরে ফেলতে পারতেন। কন্টাক্ট ফর্ম সেভেন, ডব্লিউপি ফর্মস সহ অসংখ্য কন্টাক্ট ফর্ম প্লাগিন আছে যেগুলো ইন্সটল করা কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার মাত্র। ইন্সটল করলে আপনার কাছে একটা সেটিংস অপশন আসবে, সেই অপশনের কিছু ম্যান্ডাটরি ফিল্ড পূরণ করে দিবেন (যেমন কেউ কন্টাক্ট ফর্ম পূরণ করলে মেইল কার কাছে যাবে, সাকসেস ম্যাসেজটার কালার কী হবে ইত্যাদি ইত্যাদি)। ব্যাস আপনার ওয়েবসাইটে সুন্দর একটা কন্টাক্ট ফর্ম শো করবে।

এভাবে ওয়ার্ডপ্রেসের কোর ফাংশনগুলা চেঞ্জ না করে নতুন নতুন ফাংশন জুড়ে দেয়ার জন্যই ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগিন ব্যবহার করা হয়। প্রায় সব কাজের জন্যই প্লাগিন আছে। কিছু প্লাগিন থাকে কন্টাক্ট ফর্ম বানাতে, কিছু প্লাগিন থাকে সাইটের সিকিউরিটির জন্য, কিছু প্লাগিন থাকে নিতান্ত সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য। মোট কথা প্রায় সব কাজের প্লাগিনই পাবেন। আবার অকাজের অনেক প্লাগিনও পাওয়া যায়। যেমন ২০১২ র দিকে ওয়ার্ডপ্রেস ডিরেক্টরিতে একটা প্লাগিন ছিল, ওই প্লাগিন ইন্সটল করলেই পুরো ওয়েবসাইট সাদা হয়ে যেত। কী কারণে যেন প্লাগিনটা আমার বেশ পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। প্লাগিন অথর আর আমি মিলে প্লাগিনের বেশ ঘষামাজাও করেছিলাম। এত বছর পর মনে হয় কত গাধাই না ছিলাম তখন।

এখন কথা হচ্ছে প্লাগিন কি ফ্রি নাকি পেইড?

দুই ধরণেরই পাওয়া যায়। তবে আপনার সাইট যদি ব্যাসিক হয় বা আপনার জন্য হয় তাহলে ফ্রি প্লাগিন ব্যবহার করাই ভালো। ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগিন ডিরেক্টরিতে আপনি হাজার হাজার প্লাগিন খুঁজে পাবেন যেগুলো দিয়ে আপনার পারপাজ সার্ভ হবে। আবার আপনার ক্লায়েন্ট যদি স্পেশাল কোন ফাংশন তার ওয়েবসাইটে চায়, অথবা আপনি যদি মনে করেন আপনার ওয়েবসাইটে কোন স্পেশাল ফাংশন অ্যাড করবেন সেক্ষেত্রে আপনি পেইড প্লাগিনও ব্যবহার করতে পারেন। আবার কিছু কিছু প্লাগিন আছে যারা ফ্রি ভার্সন দেয় কিন্ত স্পেশাল সব ফিচার লক করে রাখে, বলে দেয় আপগ্রেড করলে স্পেশাল ফিচারগুলা ইউজ করতে পারবা।

যেমন আমার এক ক্লায়েন্টের কন্টাক্ট ফর্ম দরকার ছিল, তাকে আমি একটা প্লাগিন সেট করে দিলাম। পরে সেই ক্লায়েন্ট বলতেছে যে – আমি যেই মেইলগুলা পাঠাচ্ছি সেটা আদৌ ট্র্যাক করার কোন অপশন কী আছে যাতে আমি বুঝতে পারি যে কে কে মেইল পড়ে আর কে পড়ে না? পরে একটু খুঁজে দেখলাম ওই প্লাগিন আপগ্রেড করলেই ওই অপশনটা পাওয়া যাবে। আপগ্রেড করার সাথে সাথে অপশন পেয়েও গেলাম। তবে আবারো বলছি, আপনার সাইট যদি ব্যাসিক ওয়েবসাইট হয় তবে পেইড প্লাগিন ব্যবহার করার কোন দরকারই নাই। ফ্রি প্লাগিন দিয়েই ৯৫% কাজ চালিয়ে নেয়া যায়।

গুগলে অনেক সময় সার্চ দিয়ে দেখবেন পেইড প্লাগিন গুলোই কেউ কেউ ফ্রিতে দিচ্ছে। ভুলেও লোভে সেই সব ইউজ করবেন না। লোভে পাপ, পাপে সাইট হ্যাকড। পেইড প্লাগিন ফ্রিতে ছাড়ার উদ্দেশ্যই কিন্ত আপনার সাইটের বারোটা বাজানো। সুতরাং ওই পথে পা চালাবেন না।
16 views

ধরেন আপনি একটা ডোমেইন কিনেছেন। নিজের একটা ওয়েবসাইট বানাবেন তাই কিছুদিন পরে আরেক জায়গা থেকে হোস্টিং স্পেস কিনে নিলেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ডোমেইনের সাথে হোস্টিং কানেক্ট করবেন কিভাবে?

খুবই সহজ বিষয়। চলেন স্টেপ বাই স্টেপ দেখাই। হোস্ট বাই হোস্ট ইন্টারফেস বিভিন্ন রকম হতে পারে, কিন্ত অপশন সব জায়গায় একই রকম। হয়তো কোন জায়গায় ডান পাশে দেয়া কোথাও বাম পাশে। আমি ডোমেইনের জন্য সাধারণত হোভার ব্যবহার করি, আর হোস্টিং এর জন্য ড্রিমহোস্ট। তাই আমি এই দুই ইন্টারফেসই আপনাদের দেখিয়ে দিচ্ছি।

সবার আগে চলে যাবেন আপনার ডোমেইন প্যানেলে, যেখানে আপনি ডোমেইন এর সব কিছু এডিট করতে পারবেন। এরপর আশেপাশে একটু খুঁজলেই পায়ে যাবেন NAMESERVER নামে একটা অপশন। সেখানে ক্লিক করেন। কিছু ঘর দেখাবে। NAMESERVER 1, NAMESERVER 2, NAMESERVER 3…

Connecting Domain

এখানে এখন কী বসাবেন?

আপনি যখনই যেখান থেকেই যে কোন ভাবেই হোস্টিং প্যানেল কিনেন না কেন, কেনার পর যখন ই-মেইলে কনফার্মেশন পাবেন তাতে অতি অবশ্যই লিখে দেয়া হবে আপনার NAMESERVER আসলে কি। কেউ দুইটা NAMESERVER পাঠায়, কেউ তিনটা পাঠায় আবার কেউবা চারটা। হোস্ট থেকে আপনাকে মেইলে যতগুলো NAMESERVER অ্যাড্রেস দিয়ে দিবে, ততগুলোই অ্যাড করবেন। এখন ধরেন আমাকে NAMESERVER পাঠিয়েছে তিনটা। সেই তিনটা আমি এখানে অ্যাড করে SAVE NAMESERVERS বাটনে ক্লিক করে বের হয়ে চলে আসলাম। ডোমেইন প্যানেলের কাজ আমার শেষ। যদিও লিখে দেয়া থাকে এই সার্ভার অ্যাড্রেস চেঞ্জ হতে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে, কিন্ত এই জীবনে আমার কখনোই ১০ মিনিটের বেশি লাগে নাই।

Connecting Domain

যাই হোক, একটু হেঁটে হুটে আসেন। বিস্কিট খেয়ে, এক গ্লাস পানি ঢক ঢক করে গিলে আবার চলেন শুরু করি।

এবার চলে যান আপনার হোস্ট প্যানেলে। “Add Hosting to a Domain” নামে অপশন পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করবেন।

Connecting Domain

এবার যে পেজ খুলবে তাতে লেখা থাকবে Domain to Host. পাশের বক্সে আপনার ডোমেইনের অ্যাড্রেস লিখবেন। যেমন আমার ডোমেইনের নাম shadnanm.com, আমি শুধু ওইটুকুই লিখব। কোন http/https লাগানোর দরকার নাই। এরপরের যে অপশনগুলো থাকবে চেক করতে পারেন, চেঞ্জ করতে পারেন। তবে কিছু না বুঝলে কোন কিছুতে ক্লিক করার দরকার নাই। হোস্টগুলো সাধারণত বেস্ট অপশনই বাই ডিফল্ট সিলেক্ট করে রাখে। এখন Fully host this domain ক্লিক করলেই সাকসেসফুল ম্যাসেজ পাবেন। যদি বাই এনি চান্স না পান, তবে একটু অপেক্ষা করে আবার চেষ্টা করেন, অবশ্যই হয়ে যাবে।

Connecting Domain

অতি অবশ্যই মনে রাখবেন, আগে ডোমেইনের NAMESERVER চেঞ্জ করতে হবে, এরপর হোস্টিং এর কাজ করবেন। উল্টোভাবে করতে গেলে বারবার এরর ম্যাসেজ পেতে থাকবেন।
7 views

ধরেন আপনার নাম সলিম, এখন আপনি আপনার জন্য একটা মেইল অ্যাড্রেস ক্রিয়েট করবেন। যেহেতু মেইল অ্যাড্রেস আপনার স্থায়ী ঠিকানার মত ব্যাপার, তাই একটু প্রফেশনাল ই-মেইল অ্যাড্রেস ক্রিয়েট করা হচ্ছে বেস্ট অপশন। আপনি আজকে ক্লাস এইটে পড়েন, গেম খেলতে ভালোবাসেন বলে আপনি আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস ক্রিয়েট করলেন gamerboysolim007@gmail.com নামে। আপনি যখন বড় হবেন, বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করবেন, তখন কোন প্রফেসর যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে বাবা তোমার মেইল আইডি বলো, আমি পেপারটা অ্যাটাচমেন্ট করে পাঠিয়ে দিচ্ছি, তখন যদি আপনি gamerboysolim007@gmail.com আইডি দেন তাহলে আপনাকে সেখানেই ঘাড় ধাক্কা দেয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।

তো প্রথম কথা হচ্ছে মেইল অ্যাড্রেস ক্রিয়েট করতে হবে খুবই প্রফেশনালি। কিন্ত জিমেইলেই প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২ লক্ষ মেইল ক্রিয়েট করা হয়, সেখানে আপনি আপনার মনের মত অ্যাড্রেস নাও পেতে পারেন। অথবা নামের পর কিছু সংখ্যাও লাগাতে হতে পারে। এখানেই আসে কাস্টম ই-মেইল অ্যাড্রেসের কথা। এই যেমন আমার ব্যবহার করা জিমেইল অ্যাড্রেস দেখতে তেমন সুন্দর না, তাই আমি আমার ওয়েবসাইটের নামের সাথে মিল রেখে ব্যবহার করি mail@shadnanm.com. আবার আমার অন্য একটি .me ডোমেইন কেনা আছে যাতে আমি ব্যবহার করি sh@dnan.me. এই ই-মেইল গুলো যেমন দেখতে চমৎকার আর পরিষ্কার, তেমনি একটু কুল আর প্রফেশনাল ভাবও চলে আসে। ফ্রিল্যান্সিং করেন অথবা ব্যাংকে সিভি জমা দেন, সব ক্ষেত্রেই ক্লায়েন্টের নজর একটু আলাদা ভাবে পরে।

এখন কথা হচ্ছে ডোমেইন আর হোস্টিং কেনার পর কিভাবে কাস্টম ই-মেইল ক্রিয়েট করবেন…

প্রথমে আপনার সি-প্যানেল খুলুন, সেখানে নিচের মত একটা EMAIL বক্স পাবেন। ওই বক্সের একটা অপশন Email Accounts এ ক্লিক করেন।

Customized Mail

এরপর যে পেজটা খুলবে তার ঠিক ডান কোনায় দেখতে পাবেন “+CREATE” নামে একটা অপশন। ওই বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে পরের পেজে নিয়ে যাবে।

Customized Mail

এবার পরের পেজে আপনার ডোমেইন সিলেক্ট করেন, ইউজার নেমের জায়গায় আপনার পছন্দের ওয়ার্ড বসান। যেমন mail@shadnanm.com ইউজ করতে চাইলে ইউজার নেম হবে শুধু mail. এরপর পাসওয়ার্ড দিয়ে দেন ভালো একটা। স্টোরেজ ঠিক করে দেন, আপনার যদি ২০০ মেগাবাইট দরকার লাগে তবে ২০০ মেগাবাইট দিবেন, ২ গিগাবাইট দরকার থাকলে ২ গিগাবাইট দিবেন। তবে এই স্পেস অবশ্যই আপনার হোস্টিং স্পেসের চেয়ে কম হতে হবে। ধরেন আপনার হোস্টিং ১ জিবি আর আপনার মেইল স্পেস দিলেন ২ জিবি সেটা কিন্ত হবে না। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে Unlimited অপশন সিলেক্ট করাই ভালো।

Customized Mail

এবার CREATE বাটনে চাপ দিলেই আপনার মেইল অ্যাড্রেস ক্রিয়েট হয়ে যাবে। এখন কেউ যদি এই মেইল অ্যাড্রেসে ই-মেইল করে, তবে আপনি webmail.*******.com অ্যাড্রেসে যেয়ে ইউজার/পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলেই সেই মেইল দেখতে পাবেন, রিপ্লাইও দিতে পারবেন।

7 views

ধরেন আপনি একটা ওয়েবসাইট বানালেন। এরপর সবাইকে সেই ওয়েব অ্যাড্রেস দিয়ে বললেন “আমার ওয়েবসাইটটা দেইখো”। খুব স্বাভাবিক ভাবে নিশ্চয়ই আপনার ওয়েবসাইট সবাই একই রকম ডিভাইসে চেক করবে না, তাই না?

কেউ আপনার ওয়েবসাইট তার ২৭ ইঞ্চ এর বিশাল মনিটরে দেখবে, কেউ আপনার ওয়েবসাইট তার ১৪ ইঞ্চ স্ক্রিনের ল্যপটপ মনিটরে দেখবে, কেউবা আপনার সাইট তার আইপ্যাডে চেক করবে আর বেশিরভাগ মানুষ হাতের কাছে থাকা ৫/৬ ইঞ্চ ছোট্ট মোবাইলে চেক করবে।

আপনি তো ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলেছেন, খুবই ভালো কথা। কিন্ত সেই সাইট কী সব ডিভাইসে ভালো করে দেখা যাচ্ছে? সব ডিভাইসের ইউজাররা কী সহজ করে আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট দেখতে পাচ্ছেন? এই যে বিভিন্ন ডিভাইসের অনুপাতে ওয়বপেজের কন্টেন্ট সাইজের পরিবর্তন হচ্ছে এটাই ওয়েবসাইটের রেস্পন্সিভনেস।

এই ছবিটি দেখুন। একই ওয়েবসাইট ডেস্কটপে খুব সুন্দর লাগছে কিন্ত মোবাইলে ব্রাউজ করতে গেলে হিবিজিবি লাইন ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না –

Website Responsiveness

আবার আপনি যদি আমার ওয়েবসাইট দেখেন, ডেস্কটপে যেমন সুন্দর লাগছে আবার মোবাইলে ব্রাউজ করতে গেলে ডিজাইন চেঞ্জ হয়ে সব কিছু স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে –

Website Responsiveness

প্রথম ওয়েবসাইটটি রেস্পন্সিভ না, কিন্ত আমার ওয়েবসাইটটি রেস্পন্সিভ।

এখন কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে চেক করবেন আপনার ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ কি না?

যে কোন ব্রাউজারে আপনার ওয়েবপেজ খুলুন এরপর একসাথে Ctrl+Shift+M বাটন চাপুন। দেখবেন আপনার ব্রাউজারেই বিভিন্ন সাইজের ডিভাইস সিমুলেটর দেখাচ্ছে। সিমুলেটর অপশনে ডিভাইস চেঞ্জ করলেই ওই ডিভাইসের এক্সাক্ট সাইজ হয়ে যাবে আর আপনার ওয়েবপেজ ওই ডিভাইসে কেমন দেখা যাবে তা দেখতে পাবেন।

Website Responsiveness

28 views