Skip to content

ওয়েবসাইটে যারা ব্লগ লেখেন, অথবা যারা ভিডিও বেজড পোর্টফোলিও নিয়ে কাজ করেন তাদের বেশিরভাগ সময়ই ওয়েবপেজে ভিডিও এম্বেড করে নিতে হয়। ভিডিও এম্বেড অর্থ আপনি যেই ভিডিও ইউটিউব/ভিমিওর ওয়েবসাইটে দেখতে পারতেন সেই ভিডিও ইউটিউব/ভিমিওর ওয়েবসাইটে না যেয়ে আপনার ওয়েবপেজেই দেখানো। আরও সহজ করে বুঝাই – ধরেন আপনি ম্যারাডোনাকে নিয়ে একটা ব্লগ লিখছেন, এখন ম্যারাডোনার অবিশ্বাস্য গোলগুলোর ভিডিও আপনি সেই ব্লগ পেজে জুড়ে দিবেন।

তো আপনি যে কাজটি করতে পারেন তা হচ্ছে সেই ব্লগের মধ্যে একটা বাটন দিতে পারেন যেখানে লিখবেন “ম্যারাডোনার গোলগুলো দেখতে এই লিংক ক্লিক করুন”। সেই লিংকে ক্লিক করে পাঠক ইউটিউবে যেয়ে ম্যারাডোনার গোলের ভিডিও দেখতে পারবেন। কিন্ত এটা কেমন যেন হয়ে যায় তাই না? তার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর হয় যদি আপনি আপনার ব্লগের লেখার মাঝে ভিডিওটি অ্যাড করে দেন। আর পাঠক আপনার ব্লগ পড়ার সময় ওই পেজেই ভিডিওটি দেখে ফেলতে পারেন, তাকে আর কোন লিংকে ক্লিক করে অন্য কোন ওয়েবসাইটে যাতে না যাওয়া লাগে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভিডিওগুলো কিভাবে এম্বেড করবেন? ইউটিউবের উদাহরণ দিচ্ছি…

ধরা যাক আপনি এই ভিডিওটি এম্বেড করতে চাচ্ছেন। ভিডিওর নিচে SHARE বাটনে ক্লিক করেন। একটা নতুন উইন্ডো খুলবে, তাতে Embed অপশন পাবেন।

Video Embed

এম্বেড বাটনে ক্লিক করলেই নিচের ছবির মতো একটা কোড দেখাবে। এই কোড কপি করে আপনার ওয়েবপেজে বসায় দেন। ব্যাস কাহিনী শেষ। এখন থেকে আপনি আপনার ওয়েবপেজে ভিডিওটি দেখাতে পারবেন। সেম রুলস ফলো করে আমি এই পোস্টের নিচে ভিডিওটি এম্বেড করে রাখলাম।

Video Embed

 

এম্বেডেড ভিডিওঃ

 

ভিমিও/ডেইলিমোশন সহ অন্যান্য ভিডিও হোস্ট প্লাটফর্ম যারা আছে তাদের ভিডিও এম্বেড করার ওয়েও প্রায় সেম। তবে কিছু ভিডিও আপলোডার ভিডিও আপলোডের সময় এম্বেড অপশন ব্লক করে রাখেন। সেক্ষেত্রে আপনি কোন ভাবেই সেই ভিডিও আপনার ওয়েবপেজে দেখাতে পারবেন না।
5 views

যদি ওয়েবপেজ বানাতে যান তাহলে সবচেয়ে বড় যে ঝামেলায় মাঝে মধ্যেই পড়বেন তা হচ্ছে কালার সিলেকশন। ধরেন কেউ আপনাকে বলল নীল কালার ইউজ কইরো এখানে, এখন নীল তো অনেক রকম হয় – হালকা নীল, গাড় নীল, বেদনার রঙ নীল… হাজার অপশন আপনার জন্য খোলা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি ইউজ করবেন কোনটা…

আবার মাঝে মধ্যে এমনও হয় যে কোন একটা ওয়েবপেজে গিয়েছেন সেখানে কোন একটা কালার দেখে আপনার এত পছন্দ হয়েছে যে বলার মত না। সেটা একটু লালচে। কিন্ত আপনি জানেন না এই কালারের নামটা কী। এইসব ক্ষেত্রে ওই ওয়েবপেজের কালার কোড কিভাবে পাবেন?

সহজ সমাধান দিচ্ছি…

যে কোন ব্রাউজারেই ওয়েবপেজে রাইট ক্লিক করবেন, উইন্ডো বক্স খুললে তাতে একদম নিচে দেখবেন লেখা “Inspect”. ক্লিক করলে কিছু কোডওয়ালা বাক্স খুলবে। তাতে নিচের ছবির লাল মার্ক করা এই আইকনটা খুঁজে নেন। এরপর এই আইকনে ক্লিক করে ওয়েবপেজের যে কোন কালারের উপর মাউস কার্সর ধরলেই দেখবেন আপনাকে কালার কোড দেখিয়ে দিচ্ছে। এখন সেই কালার কোড আপনার ওয়েবপেজে যেয়ে পেস্ট করলেই দেখবেন এক্সাক্ট সেম কালার আপনি পেয়ে গেছেন।

 

কালার কোড

10 views

আপনার ওয়েবসাইটের নামই হচ্ছে আপনার ডোমেইন নেম। যেমন ফেসবুকের ডোমেইন নেম facebook.com, আবার fb.com ও তাদের আরেকটা ডোমেইন। আবার আমার মূল ওয়েবসাইটের ডোমেইন shadnanm.com, আমার ইউআরএল শর্টনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন shadnan.link এবং shadnanmahmud.com নামের এই সাইটে আমি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের বিভিন্ন ট্রিক্স আর ফিক্স দিয়ে বেড়াচ্ছি। আপনি নির্ধারণ করবেন আপনার ওয়েবসাইটের পারপাজ কি। সেই হিসেবে ডোমেইন কিনবেন আর ডোমেইন ভেদে দাম বাড়বে কমবে। যদিও আমাদের দেশে ওয়েবসাইট বলতে এখনও বেশিরভাগ মানুষ .com ই বুঝে, কিন্ত অবস্থা খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। অনেকেই এখন .com ছাড়াও .org/.me/.net/.com.bd সহ আরও অনেক কিছুই কিনে রাখছেন।

এখন একটা জেনারেল প্রাইসিং লিস্ট দেয়া যাক –

  • .com এর ডোমেইন কিনলে খরচ পড়বে ৮ থেকে ১২ ডলার (১ বছরের জন্য)
  • .net এর ডোমেইন কিনলে খরচ পড়বে ১০ থেকে ১২ ডলার (১ বছরের জন্য)
  • .org এর ডোমেইন কিনলে খরচ পড়বে ১২ থেকে ১৫ ডলার (১ বছরের জন্য)
  • .me এর ডোমেইন কিনলে খরচ পড়বে ৫ থেকে ৭ ডলার (১ বছরের জন্য)
  • .com.bd এর ডোমেইন কিনলে খরচ পড়বে ভ্যাট সহ ১৯০০ টাকা (২ বছরের জন্য)

 
সাধারণত প্রাইস ডিপেন্ড করে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের উপর। যেমন নেমচিপে আজকে ডোমেইন কিনতে পারেন ১২ ডলারে, সে একই ডোমেইন গোড্যাডিতে ১৫ ডলার আবার লোকাল মার্কেটপ্লেস থেকে কিনলে ১০০০ টাকা। কেনার আগে দামটা চেক করে নিবেন আর দেখে নিবেন পরের বছর রিনিওয়াল প্রাইস কত। কেউ যদি আপনাকে ২ ডলারে ডোমেইন দেয় তাহলে নাচতে নাচতে কিনে ফেলবেন না কারণ পরের বছর রিনিওয়াল প্রাইস ৫০ ডলার ধরতে পারে। সেই হিসেবে এই বছর ১০ ডলার বাঁচিয়ে পরের বছর কিন্ত ৪০ ডলার গচ্চা দিচ্ছেন।

রিনিওয়াল প্রাইস না দেখে কোন ডোমেইনই কিনবেন না। যেমন গোড্যাডিতে .me একটা ডোমেইন কিনেছিলাম ৯৯ সেন্টে। এরপর সেখানে খুব ইম্পরট্যান্ট একটা প্রোগ্রাম হোস্ট করি। পরের বছর রিনিওয়ালের সময় দেখি ৯৯ সেন্টে ডোমেইন কিনলেও, এর বাৎসরিক রিনিওয়াল প্রাইস ১৯.৮৮ ডলার। আগে একটু খেয়াল করলে আমি হয়তো ওই ডোমেইন কিনতামই না। সুতরাং ডোমেইন কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিবেন।
18 views

পৃথিবীর সব ওয়েবসাইটের ঠিকানাই হচ্ছে ডোমেইন। আপনি যদি facebook.com ব্যবহার করেন সেটা একটা ডোমেইন, আবার আমার ওয়েবসাইট shadnanm.com তাও একটা ডোমেইন। মূল কথা হচ্ছে ওয়েবসাইটের যে নামটি ব্যবহার করছেন সেটাই ডোমেইন।

সাবডোমেইন হচ্ছে ডোমেইনের এক্সটেনশন টাইপ জিনিস। ধরেন গুগলের ডোমেইন হচ্ছে google.com, এখন গুগল চাইলো সে একটা আলাদা ওয়েবসাইট বানাবে যেখানে সে তার ইউজারদের জন্য মেইল সুবিধা রাখবে। তখন গুগল খুলে নিলো তার মূল ডোমেইনের একটা সাবডোমেইন mail.google.com. ভালো করে দেখেন – google.com কিন্ত ঠিকই থাকল, কিন্ত তার সামনে যোগ হলো তার ডোমেইনের একটা সাব পার্ট mail.

সবাডোমেইনে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন গুগলের বিভিন্ন সেবা তার মূল ডোমেইনের পরিবর্তে সাবডোমেইন দিয়ে প্রোভাইড করা হয়। পেমেন্টের সময় payment.google.com, আবার অ্যাডসেন্সের ক্ষেত্রে adsense.google.com ইত্যাদি ইত্যাদি। গুগল তার মূল ডোমেইনে শুধু তার ফেস ব্র্যান্ড সার্চ ইঞ্জিন ইউজ করে।

ডোমেইন কিনতে টাকা খরচ করা লাগলেও, সাবডোমেইনের জন্য টাকা খরচ করা লাগে না। তবে হোস্টিং কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিবেন আপনার হোস্ট আপনাকে কয়টি সাবডোমেইন খোলার পারমিশন দিচ্ছে। কেউ কেউ ৫ টা/১০ টা সাবডোমেইন ব্যবহারের পারমিশন দেয়, আবার কেউ কেউ আনলিমিটেড সাবডোমেইনের পারমিশন দেয়।

আপনার সাবডোমেইনগুলো ডোমেইনের উপর ডিপেন্ড করে। আপনি যদি কোন কারণে ডোমেইন রিনিউ না করান অথবা এক্সেস হারিয়ে ফেলেন অথবা বিক্রি করে দেন তবে আপনার ডোমেইনের সাথে সাথে সাবডোমেইনের অ্যাক্সেসও হারাবেন
8 views

আপনি যদি আপনার হোস্টিং প্যানেলে যান, তবে দেখতে পাবেন একটা অপশন আছে “Add-on Domain” নামে। আসলে অ্যাড অন ডোমেইন কী?

ধরেন আমার মূল সাইটের অ্যাড্রেস shadnanm.com, এখন এই সাইট ব্যবহারের জন্য আমি একটা হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছ থেকে ১ জিবি হোস্টিং কিনলাম। দুই মাস পর মনে হলো, ওই সাইটের পাশাপাশি আমি আরেকটা সাইট বানায় নিব যেইটার অ্যাড্রেস হবে shadnanmahmud.com. তো এখন এই ডোমেইনের জন্য তো আমার আরেকটা হোস্টিং প্যানেল কিনতে হবে, তাই না? আবার বেশ কিছু টাকা খরচের ব্যপার স্যাপার।

অ্যাড অন ডোমেইনের মজাটাই এখানে। আমি আমার আগের সাইট shadnanm.com এর জন্য যে হোস্টিং প্যানেল কিনেছিলাম সেখানেই অ্যাড অন ডোমেইন হিসেবে আমি shadnanmahmud.com অ্যাড করে নিতে পারি। আপনার তাহলে একই হোস্টিং প্যানেলে দুইটা ডোমেইন হোস্ট করা থাকল, দুইটা আলাদা ওয়েবসাইট হলো, আবার কোন খরচও পড়ল না হোস্টিং কেনার জন্য।

তবে আপনার সাইটে যদি ফাইল অনেক বেশি হয়, আর ইনিশিয়াল স্পেস কম থাকে (২৫০/৩০০ এমবি) তবে অ্যাড অন ডোমেইন না ইউজ করাই ভালো। সাইট ক্র্যাশ করতে পারে। তাছাড়া বেশিরভাগ প্রোভাইডার কম স্পেসে অ্যাড অন ডোমেইনের অপশন রাখে না। হোস্টিং কেনার আগে ভালো করে দেখে নিবেন আপনাকে কয়টা অ্যাড অন ডোমেইনের পারমিশন দেয়া হচ্ছে।

মনে রাখবেন, আপনি যদি ২৫০ এমবি স্পেস কিনেন আর তাতে যদি ১০টা অ্যাড অন ডোমেইনের অপশন থাকে, তাহলে যেমন লাভ নাই। তেমনি আপনার যদি ১০০ জিবি স্পেস থাকে কিন্ত অ্যাড অন ডোমেইনের পারমিশন না থাকে, তাতেও লাভ নাই। হোস্টিং কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে জেনে বুঝে কিনবেন।
11 views

ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট বানিয়ে নেয়ার পর তাতে আপনি চাইলে অনেক কিছুই রেখে দিতে পারেন। আপনি যদি ভিডিও হোস্ট করতে চান, ভিডিও আপলোড করতে পারেন। যদি আপনি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হন, আপনি আপনার তোলা ছবিগুলা একদম অরিজিনাল সাইজে রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাঝে মধ্যেই একটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কমদামী হোস্টিং প্রোভাইডার, স্পেশালি আমাদের দেশের লোকাল হোস্ট প্রোভাইডারদের কাছ থেকে যদি হোস্ট নিয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনার যেকোন কিছু আপলোড করার ক্ষেত্রে ফাইল সাইজ লিমিট খুবই ছোট। এখন আপনার ছবি যদি ২০ মেগাবাইটের হয় আর যদি ফাইল আপলোড লিমিট হয় ৫ মেগাবাইট তাহলে তো আর আপনি ফাইল আপলোড করতে পারছেন না।

এই সমস্যা খুব সহজে সল্ভ করা যায়। আপনার ওয়েবসাইটের রুট ফোল্ডারের ফাইলগুলা খুলে দেখেন (মানে যেখানে ওয়ার্ডপ্রেসের কোর ফাইলগুলা থাকে আর কি), দেখবেন একটা ফাইলের নাম .htaccess. সেই ফাইল খুলে এই কোড কপি করে বসায় দেন

php_value upload_max_filesize 64M
php_value post_max_size 64M
php_value max_execution_time 300
php_value max_input_time 300

সেভ করে বের হয়ে আসেন, দেখবেন আপনার লিমিট এক ধাক্কায় বেড়ে গেছে।

.htaccess ফাইল এডিট/সেভ করার আগে অবশ্যই আগে এই ফাইলের একটা ব্যাকআপ রেখে নিবেন
16 views