ওয়ার্ডপ্রেসের থিম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেসের ডিজাইন। ধরেন আপনি দুইটা ওয়েবসাইট বানাবেন। একটা আপনার ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও শো করতে, আরেকটা সাইট বানাবেন অনলাইনে কোন কিছু বিক্রি করতে। এখন চিন্তা করেন, দুইটা ওয়েবসাইটের ডিজাইন কী একই রকম হবে? অতি অবশ্যই না।
এক ওয়েবসাইটের ভিতরে হয়তো আপনাকে নিয়ে কিছু লেখা, আপনার ছবি থাকবে। আর আরেক ওয়েবসাইটে থাকবে ছোট ছোট প্রোডাক্ট, এর দাম… এখন দুই ওয়েবসাইটের ডিজাইন যদি আপনাকে আলাদা আলাদাভাবে তৈরী করে নিতে হয় তাহলে কিন্ত বিশাল ঝামেলা। এই ঝামেলা দূর করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস আগে থেকেই কিছু ডিজাইন তৈরী করে রাখে। আপনি শুধু একটা ক্লিক করলেই ডিজাইন চেঞ্জ হয়ে যাবে। এরপর আপনি সেই ডিজাইনের উপর নানা রকম কাস্টোমাইজ করে আপনার মনের মত ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেসের থিম সাধারণত দুই রকম পাওয়া যায় –
ফ্রি থিম – অধিকাংশ মানুষ ব্যবহার করে
পেইড থিম – কম মানুষ, তবে প্রফেশনালরা ইউজ করে
ফ্রি থিমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুবই অল্প স্বল্প সাপোর্ট পাবেন। কপাল খারাপ হলে সাপোর্টও পাবেন না তেমন। কিন্ত পেইড থিমে আপনি যে কোন সমস্যাতে যে কোন সময়েই পড়েন না কেন, থিম অথর আপনাকে হেল্প করবেই। ফ্রি থিমের আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে কাস্টমাইজ করার অপশন খুবই সামান্য। কিন্ত পেইড থিমে আপনি ওয়েবসাইটের প্রায় প্রতিটা জায়গা কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
এখন জিজ্ঞেস করতে পারেন কোন থিম ব্যবহার করা ভালো? ফ্রি থিম নাকি পেইড থিম?
উত্তর হচ্ছে, আপনার ওয়েবসাইট যদি একদমই এন্ট্রি লেভেলের হয়, আপনার হাত যদি টানাটানির হয়, মানে বাজেট কম থাকে; তাহলে আপনি ফ্রি থিম ইউজ করবেন। কিন্ত যদি আপনার বাজেট একটু ভালো হয় তবে অবশ্যই পেইড থিম ব্যবহার করা ভালো। আগের এক পোস্টে লিখেছিলাম দরকার না হলে পেইড প্লাগিন ইউজ করার প্রয়োজনই নাই। এখানে উল্টো গীত গাইছি। বলছি আপনি পারলে পেইড থিমই ব্যবহার করেন। কারণ বছর বছর ওয়েবসাইটের ডিজাইন কখনো চেঞ্জ করা হয় না। আর চেঞ্জ করলেও অনেক কিছুই উলটে পালটে যায়। তাই সবচেয়ে ভালো হয় প্রথম দিকে একবারে একটু বেশি টাকা খরচ করে একটা প্রিমিয়াম/পেইড থিম কিনে নেন, এরপর ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলেন।
পেইড থিমগুলো সাধারণত ১০-৭০ ডলারের মত দাম হয়। একবার কিনলে ৩/৬/১২ মাসের সাপোর্ট পাবেন। তবে সারা জীবন অটো আপডেট পাবেন। মানে ওই থিমের যে কোন আপডেট (কোড স্ট্রাকচার/ফিচার আপডেট) আসলেই আপনার থিম অটোমেটিক আপনার ওয়েবসাইট থেকেই আপডেট হয়ে যাবে।